১২০৬ খ্রিস্টাব্দে ভারতের ঘোষিত প্রথম মুসলিম শাসক মহম্মদ ঘোরির সেনাপতি কুতুবউদ্দিন আইবকের শাসনকাল থেকেই এদেশে লাগু হয় ইসলামী শাসনতন্ত্র। আর সেদিন থেকেই ভারতীয়রা স্বদেশেই পরিচিত হোন দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে, যাঁদের সংজ্ঞা হয় "কাফের।" এই কাফেরদের মর্যাদা হয় ইসলামের আশ্রিত প্রজা, নাম হয় "জিম্মি।"মুসলিম শাসনকালে এরপর ভারতের অমুসলিমদের মধ্যে চলে ইসলামীকরণের পালা। লক্ষ্য অমুসলিমদের দেশ "দার-উল-হার্ব"-কে মুসলিমদের দেশ "দার-উল-ইসলাম"-এ পরিণত করা।
তাই ভারতের স্বদেশী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের কাছে হয়ে যায় "শয়তানি শিক্ষা"-র কারখানা। জারি হয়ে যায় হিন্দুদের ওপর কোনোরকম ধর্মীয় চিহ্ন না রাখার ফতোয়া। এমনকি, হিন্দুদের হাতির পিঠে চড়াও নিষিদ্ধ করা হয় আওরঙ্গজেবের ফতোয়ায়।
আবার তুর্কি আমলে এই অবস্থার কথা বলতে গিয়ে খ্রিস্টিয় চতুর্দশ শতাব্দীর কবি বিদ্যাপতি জানাচ্ছেন, "ধরি আনয়ে বামুন বড়ুয়া। ফোঁটা চাট গাইকো চড়ুয়া। ।"
অর্থাৎ হিন্দুদের তিলক মুছে, টিকি কেটে গাধার পিঠে চড়িয়ে তুর্কি প্রধানরা পশু উল্লাসে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াতো।"বড়ুয়া" হচ্ছে মন্দিরের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তি। এ তো গেল, সাধারণ মানুষের কথা। রেহাই মেলেনি এ দেশের হিন্দু শাসকদের পর্যন্ত। কাবুলের হিন্দুরাজা জয়পালকে ক্রীতদাস হিসেবে বন্দি করে গজনীতে নিয়ে গিয়েছিলেন সুলতান মামুদ। সেখানে ক্রীতদাসের বাজারে তাঁকে সাধারণের মতো নিলামে চড়ানো হয়েছিল। তার আগে তাঁর গলা থেকে খুলে নেওয়া হয়েছিল বহুমূল্য হারটি। অধ্যাপক কে. এস. লালের লেখা "মুসলিম স্লেভ সিস্টেম ইন্ ইণ্ডিয়া" থেকে জানা যায়, যাতে তাঁর বন্দি সন্তান ও পরাজিত সৈনাধ্যক্ষরা এক অমর্যাদাকর লজ্জাজনক অবস্থায় দেখতে পায়, সেজন্য তাঁকে প্রকাশ্যে হাঁটানো হয়। না, এই অপমানের পরে বেঁচে থাকার চেয়ে মৃত্যুকেই শ্রেয় মনে করেছিলেন জয়পাল। আর তাই আগুনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মবিসর্জন দেন তিনি।
এ দেশের ধর্মান্তরিত মুসলিমদের সামাজিক মর্যাদার বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যায় এবং সেই সঙ্গে তাঁদের জীবনের মান কতটা বেড়েছে, তা নিয়েও।
মুসলিম আমলে রাষ্ট্রের ভাষা ছিল ফার্সি, আরবি নয়। এ যেন পারস্য সভ্যতার কাছে আরব সভ্যতার পরাজয়। এ দেশের মুসলিম শাসকরা কোনো দেশীয় ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা না করে ফার্সিকে ব্যবহার করেছেন। পরবর্তীকালে যখন পশ্চিমী হিন্দির পারসিক রূপ হিসেবে উর্দুর আত্মপ্রকাশ ঘটলো, তখন ভারতের অভিজাত মুসলিমদের ভাষা হয়ে গেল এই উর্দু এবং তাঁরা হলেন "আশরাফ।" আর যেসব মুসলিম স্থানীয় ভাষাভাষী হয়ে থেকে গেলেন, তাঁরা নিম্নস্তরের মুসলিম হিসেবে পরিচিত হলেন "আতরাফ" নামে।
প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট আর্থার স্মিথ্ তাঁর "অক্সফোর্ড হিস্ট্রি অব্ ইণ্ডিয়া"-য় জানাচ্ছেন, "Urdu is a Persinised form of Western Hindi. "বলা বাহুল্য, এদেশের ধর্মান্তরিত মুসলিমরা এই "আতরাফ" গোষ্ঠীর মধ্যেই আটকে থেকে গেলেন সামাজিক মর্যাদায়। অন্যদিকে, অভিজাত "আশরাফ"-দের ভাষা হয়ে গেল উর্দু।
বাংলাদেশের বিশিষ্ট চিন্তাবিদ্ বদরুদ্দীন উমর তাঁর "মুসলমানদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন" (১৯৬৮) - গ্রন্থে বলছেন, "মাত্র কিছুসংখ্যক ব্যতীত বাঙলার সমস্ত মুসলমানেরই পূর্বপুরুষ এদেশের অধিবাসী এবং হিন্দু।"সুতরাং, হিন্দু থেকে ইসলামে ধর্মান্তরকরণের ঘটনা একটি স্বীকৃত ইতিহাস। আর হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত এইসব মুসলিমরা সামাজিক মর্যাদায় আতরাফ গোষ্ঠীর মধ্যেই থেকে গেছেন। এ বিষয়ে বিশিষ্ট মুসলিম চিন্তাবিদ্ ফজলে রাব্বীও বলছেন, ধর্মান্তর তাদের সামাজিক ও পারিবারিক মর্যাদার পরিবর্তন ঘটায় নি। (The Origins of Musalmans of Bengal, Calcutta, Page-60-61: Rabbi KF.)
আবার আরেক চিন্তাবিদ্ ড: উয়াইজ-এর পর্যবেক্ষণেও ধরা পড়েছে বিষয়টি। তিনি বাংলায় দেখেছেন, হিন্দু সমাজ বা বর্ণবহির্ভূত কিছু বেদে গোষ্ঠী প্রায় ৩০ বছর আগে (১৮৫০ খ্রি: ) ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম জীবনচর্চা করে আসছিল, কিন্তু তারা সরকারি মসজিদে ঢুকতে পারে না কিংবা সরকারি কবরখানায় মৃতদেহ কবরস্থের অনুমতি পায় না। সামাজিক দিক দিয়ে তারা এখানো বিচ্ছিন্ন এবং কোনো ভদ্রলোক তাদের সঙ্গে মেলামেশা খাওয়া-দাওয়া করে না।
{The Muhammadans of Eastern Bengal, Journal of the Asiatic Society of Bengal, Vol, 63, 3: 1, Page 61: Wise J. (1894) ) }
তাই বলাই যায়, ধর্মান্তরিতরা একটি অমর্যাদাশীল জাতি হিসেবেই সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। অথচ ভারতে শূদ্ররাও রাজা হয়েছেন। এর বড়ো প্রমাণ, নন্দবংশের প্রতিষ্ঠাতা মহাপদ্মন্দ। জাতিতে তিনি নাপিত হয়েও মগধের রাজপদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। আবার মৌর্য সম্রাট অশোক ছিলেন দাসীপুত্র। অন্যদিকে, হিন্দুদের মধ্যে থেকে এক অংশকে বের করে এনে ইসলামে সামিল করতে পারলেও তাদের সামাজিক মর্যাদা দিতে ব্যর্থ। সাম্যের মধ্যেও আশরাফ ও আতরাফ বিভাজন সেই ব্যর্থতার উদাহরণ। আর সামাজিক মর্যাদার দিক দিয়ে এটিই ধর্মান্তরিত বর্ণহিন্দুর আজ-কাল-পরশু।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
In publishing and graphic design, Lorem ipsum is a placeholder text commonly used to demonstrate the visual form of a document or a typeface without relying on meaningful content. Lorem ipsum may be used as a placeholder before final copy is available. test