২২ বছরের পুত্র মহম্মদ আকবরের হাতে মাড়োয়ারের দায়িত্বভার দিয়ে বাদশাহ আওরঙ্গজেব আজমীর ফিরে গেলেন। এদিকে মাত্র ১২ হাজার সেনা দিয়ে শাহজাদা আকবরের পক্ষে রাজপুতদের মোকাবিলা করা অসম্ভব হয়ে উঠলো।
মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে মোগল শিবিরে আচমকাই এক ভয়ংকর রাজপুত আক্রমণ ঘটে গেল। মহারাণা রাজসিংহের একদল রাজপুত সৈন্য চিতোর দুর্গের নিচে শাহজাদা আকবরের শিবিরে ঢুকে কতকগুলি মোগলকে হতাহত করে জিনিসপত্র লুঠ করে নিলো।
অন্যদিকে, মহারাণা রাজসিংহ নিজে আরাবল্লী পাহাড় থেকে নেমে এসে বেদনোর জেলা আক্রমণ করলেন। এর ফলে শাহজাদা মহম্মদ আকবরের আজমীরে পালানোর পথ বন্ধ হয়ে গেল। মে মাসের শেষদিকে আরও একটি রাজপুত আক্রমণ ঘটে গেল। মহারাণা রাজসিংহ হঠাৎ শাহজাদা মহম্মদ আকবরকে আক্রমণ করলেন। এতে অনেক মোগল সৈন্য নিহত হলো।
এর কিছুদিন পর মোগলদের ওপর পুনরায় আক্রমণের ঘটনা ঘটলো। এবার দশ হাজার শস্যবাহী বলদসহ একটি খাদ্যবাহী দলকে শাহজাদা মহম্মদ আকবরের শিবির থেকে রসদ আনার পথে বন্দি করে সবকিছু লুটপাট করে নেওয়া হলো।
মহারাণা রাজসিংহের জ্যেষ্ঠ পুত্র ছিলেন ভীমসিংহ। এই সময় তিনিও একদল রাজপুত সেনাদল নিয়ে দেশময় ছুটে বেড়াতে লাগলেন এবং সামনে শত্রু পেলেই কেটে ফেলতে লাগলেন। মহারাণা রাজসিংহের দেওয়ান ছিলেন দয়ালদাস। তিনিও একদল সৈন্য নিয়ে মোগলদের আক্রমণ করে ধ্বংস করতে লাগলেন।
এ সব দেখেশুনে হতভম্ব, লজ্জিত শাহজাদা মহম্মদ আকবর। অত্যন্ত খেদে পিতা আওরঙ্গজেবকে পত্র মারফৎ জানালেন, ---
"ঘৃণিত কাফিরদের আশ্চর্য্যজনক পরিশ্রম ও কার্য্যতৎপরতার ফলে যে ঘটনা ঘটিয়াছে, তজ্জন্য আমি যে লজ্জা ও মন: কষ্ট পাইতেছি, তাহার অণুমাত্র আমার বাক্য ও জ্ঞানের অল্পতাবশত: প্রকাশ করা যায়। আমি কার্য্যক্ষেত্রে মাত্র ' এক দুই তিন' পাঠ করিতেছি এবং বিষয়বুদ্ধির বিদ্যালয়ে আমার শুধু অক্ষর পরিচয় হইতেছে। আমি সর্ব্ববিধ-অজ্ঞ (হেচমদান্); এই সমস্ত দোষ আমার স্বাভাবিক দুর্ব্বলতা ও অনভিজ্ঞতার ফলে ঘটিয়াছে। ...ইনশাল্লাতালা, ভবিষ্যতে আপনার নির্দ্দেশ অনুযায়ী সাবধানতা ও সতর্কতা হইতে লেশমাত্র অন্যথা করিব না। ঈশ্বরেচ্ছায় ও আপনার অনুগ্রহে হতভাগ্য শত্রু নিজ কর্ম্মের উপযুক্ত শাস্তি পাইবে।"
----আদাব-ই-আলমগীরী, পৃষ্ঠা-২৭০, হস্তলিপি যদুনাথ সরকার। ভাষা ও বানান অপরিবর্তিত। পত্র পেয়ে ক্রুদ্ধ বাদশাহ আওরঙ্গজেব পুত্র মহম্মদ আকবরকে চিতোর থেকে মাড়োয়ারে বদলি করে দিলেন। আর চিতোরের ভার দিলেন তাঁর দ্বিতীয় পুত্র আজম শাহকে। আজম সুবাদার হিসেবে বাংলায় ছিলেন, পিতার ডাকে দ্রুত রাজপুতানায় এলেন। আরেক পুত্র মুয়াজ্জম ওরফে শাহ আলম ছিলেন দাক্ষিণাত্যে। তিনিও পিতার ডাকে রাজপুতানায় পৌঁছে উত্তর দিক থেকে মেবার আক্রমণে প্রস্তুত হলেন।
কিন্তু রাজপুত দমনে এই দুই ভাইয়ের সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়ে গেল। এর পিছনে ছিল একটি গুপ্ত ষড়যন্ত্র।
কিন্তু কি সেই ষড়যন্ত্র?
এবার আসছি সে প্রসঙ্গে।
শাহজাদা মহম্মদ আকবর চিতোর থেকে বদলি হয়ে তখন মাড়োয়ারে। সেখানে মাড়োয়ার নেতা দুর্গাদাস রাঠোর ও মেবারের মহারাণা রাজসিংহ গোপনে শাহজাদা মহম্মদ আকবরের কাছে গোপনে দূত পাঠিয়ে জানালেন, ---
"আপনার পিতা মোগল সাম্রাজ্য ধ্বংস করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। রাজপুতদের সাহায্যে আপনার পূর্ব পুরুষগণ এই সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন।
আপনি যদি নিজের বংশপরম্পরার সম্পত্তি বজায় রাখতে চান, তবে রাঠোর ও শিশোদিয়া---এই দুই সর্বশ্রেষ্ঠ হিন্দু জাতির সমস্ত বীর যোদ্ধারা আপনাকে সমর্থন করবে। তাদের নেতা হয়ে যুদ্ধ করে আওরঙ্গজেবের রাজমুকুট কেড়ে নিয়ে অতি সহজেই আপনিই বাদশাহ হতে পারবেন।" মসনদের লোভে সে ডাকে সাড়া দিলেন শাহজাদা মহম্মদ আকবর। তাই তিনি আরাবল্লী পর্বতশ্রেণির পশ্চিমদিকে গোদোবার জেলায় পৌঁছে চুপচাপ বসে রইলেন, দেবসুরী গিরিপথ দিয়ে মেবার আক্রমণ করার কোনো চেষ্টাই করলেন না।
এরপর ১৬৮০ খ্রিস্টাব্দের ১ লা জানুয়ারি মহারাণা জয়সিংহের মৃত্যু হলো। ১২ দিন অশৌচ পালনের পর মেবারের সিংহাসনে বসলেন তাঁর পুত্র জয়সিংহ। এর মধ্যে ষড়যন্ত্রটি আরো পাকা করা হলো।
অবশেষে ১৬৮১ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি বাদশাহ আওরঙ্গজেবের প্রিয় পুত্র মহম্মদ আকবর পিতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে নিজের শিবিরের সিংহাসনে বসলেন। আর তারপর আওরঙ্গজেবকে আক্রমণ করতে মাড়োয়ার থেকে আজমীর যাত্রা করলেন।
তবে শাহজাদা মহম্মদের এই বিদ্রোহ সফল হয়নি। প্রথমে মহারাষ্ট্র এবং পরে পালিয়ে পারস্যে চলে যান তিনি এবং পারস্যেই ১৭০৩ খ্রিস্টাব্দের শেষদিকে তাঁর মৃত্যু হয়। এ খবর শুনে আওরঙ্গজেবের প্রতিক্রিয়া ছিল, --- "হিন্দুস্থানের মহা অশান্তির কারণ থামলো।"
তথ্যসূত্র:
1). The Oxford History of India: V.A. Smith.
2). History of Aurangzib, Vol.III, V: J.N.
Sarkar.
3). রাজসিংহ, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ, সন ১৩৪৭: যদুনাথ সরকার।
4). মানসী ও মর্ম্মবাণী, ৮ম বর্ষ, ১ ম খণ্ড, ৩য় সংখ্যা, বৈশাখ, সন ১৩২৩: যদুনাথ সরকার।
5). প্রবাসী, ভাগ ২৯, ২য় খণ্ড, সংখ্যা ৩, পৌষ, সন ১৩৩৬: যদুনাথ সরকার।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
In publishing and graphic design, Lorem ipsum is a placeholder text commonly used to demonstrate the visual form of a document or a typeface without relying on meaningful content. Lorem ipsum may be used as a placeholder before final copy is available. test