ঋগ্বেদে সৃষ্টির আদিতে অনন্ত জলরাশির অস্তিত্ব এবং সেই "অপ্" অর্থাৎ জল থেকেই জগতের উৎপত্তির কথা আছে। এই জলরাশির মধ্যেই অবস্থান করেন অনন্ত পরিকল্পিত নারায়ণ। সুতরাং, এই অনন্ত জলরাশির প্রতীক হচ্ছেন নারায়ণ। আবার মহাভারতে আছে "নর" ও "নারায়ণ" নামে দুই প্রাচীন ঋষির কথা।"গাথাসপ্তসতী"-তে লক্ষ্মী-নারায়ণের উল্লেখ আছে।
প্রাচীনকাল থেকেই পুষ্করিণীকেন্দ্রিক বহু জনপদ আছে এ দেশে। যেমন, পদ্মাবতী, পুষ্কলাবতী, পোখরাণ, পুষ্কর, পোখরণা ইত্যাদি। পুরাণে উল্লিখিত নাগদের রাজধানী ছিল পদ্মাবতী, পুষ্কর ও পোখরাণ রাজস্থানে এবং পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলায় রয়েছে পোখরণা। এসবগুলি সবই দেবী লক্ষ্মীর জনপ্রিয়তার প্রমাণ।
বাংলার মেয়েদের কাছে "পুণ্যিপুকুর ব্রত" ছিল একসময় বেশ জনপ্রিয়। প্রত্নতাত্ত্বিক উৎখননে গান্ধারের (বর্তমান আফগানিস্তান) রাজধানী তক্ষশীলা থেকে প্রত্নতাত্ত্বিক স্যার জন মার্শাল বেশ কিছু পোড়ামাটির চারকোণা বস্তু উদ্ধার করেন। সেগুলির সঙ্গে পুকুরের মিল রয়েছে এবং এগুলি পুণ্যিপুকুর ব্রতের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এছাড়া মহেঞ্জোদারোতেও একটি পবিত্র স্নানাগার পাওয়া গেছে, যার সঙ্গে ধর্মীয় যোগাযোগের সম্ভাবনা থেকেই যায়।
তাই বলা যায়, লক্ষ্মী চেতনার সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক বহু প্রাচীন। পূর্ববঙ্গে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় ব্যবহৃত যে "লক্ষ্মী সরা", অর্থাৎ মাটির সরায় আঁকা লক্ষ্মীর ছবি, এটির মূলে রয়েছে ধর্মঠাকুরের কূর্ম প্রতীকের প্রভাব। লক্ষ্মী সরার যে গঠন, সেটি কূর্ম অর্থাৎ কচ্ছপের পিঠের মতো। হিন্দুদের দশ অবতারের মধ্যে এক অবতার এই কূর্ম। এমনকি, যে এলাকার ভূমি এই কূর্ম পৃষ্ঠের মতো, সে মাটি আধ্যাত্মিক গুণসম্পন্ন বলে ভারতীয় সাধু-সন্ন্যাসীদের অভিমত। বছরের দুটি পূর্ণিমা রাতে জোৎস্না থাকে সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল, এক, এই কোজাগরী পূর্ণিমা এবং দুই, বুদ্ধপূর্ণিমা তিথিতে।
একটা সময় ছিল যখন দুর্দিনে বাঙালি গৃহস্থের অভাব মোচন করতো লক্ষ্মীর ঝাঁপি। সময়ের সঞ্চয় অসময়ে কাজে আসতো মানুষের। তাই লক্ষ্মী মানেই মঙ্গল। গ্রাম-বাংলার কৃষক আজও রাতে কুঁড়ে বেঁধে নিজেদের জমির ধান পাহারা দেন। কৃষকদের বিশ্বাস, ক্ষেতে মা লক্ষ্মী স্বয়ং অবস্থান করেন। তাই রাতে কোনো রকম ভয় লাগে না। এমনিতে ফাঁকা মাঠে রাত কাটানো রীতিমতো ভয়ের। কিন্তু মাঠভর্তি ধান থাকলে আর কোনো ভয় থাকে না।
লক্ষ্মীর পুজো দু'রকমভাবে হয় বাংলায়। এক, প্রতিমা পুজো এবং দুই ঘট পুজো। কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে গৃহস্থ বাড়িতে, প্রধানত বাড়ির মেয়েদের উদ্যোগেই আয়োজিত হয় এই ঘটলক্ষ্মীর পুজো। সেখানে লক্ষ্মীর পাঁচালি পাঠও হয়ে থাকে। বাঙালি ঘরের মেয়েদের তাই আজও "লক্ষ্মী" বলা হয়।
সাধারণত বিষ্ণু-নারায়ণের শক্তি হিসেবেই বন্দিতা হয়েছেন পৌরাণিক লক্ষ্মী। এছাড়া লোকধর্মে লক্ষ্মীর আরেকটি পরিচয় আছে, তা হলো তিনি শস্য প্রাচুর্য ও সমৃদ্ধির দেবী, কৃষি সমাজের মানস-কল্পনায় যাঁর সৃষ্টি।
জীমূতবাহনের কালবিবেক ও কৃত্যতত্ত্বার্ণব গ্রন্থে আশ্বিন মাসে কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে আত্মীয়-স্বজনদের চিঁড়ে ও নারকেলের তৈরি নানারকম সন্দেশ খাওয়ানো হতো এবং তারপর সারারাত জেগে কাটানো হতো পাশা খেলায়। কো জাগ্রতি? অর্থাৎ, কে আছো জেগে? কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে দেবী লক্ষ্মী মানুষের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়ান এবং জেগে থাকা ব্যক্তিকেই ধন দান করেন, এমন বিশ্বাসের জেরেই এই রাত জাগে মানুষ।
সমগ্র ব্যোমমণ্ডল ১২ টি রাশিতে বিভক্ত। এর মধ্যে কন্যা রাশির সংস্কৃত নাম "ভার্গবী।" ভর্গদেবের ধীমহিমা হলেন লক্ষ্মী এবং তাই লক্ষ্মীর আরেক নাম---"ভার্গবী।" আবার তাঁর আরেক নাম---"সবিতা।" এছাড়া সম্পদের দেবী বলে তাঁর আরেক নাম---"কমলা।"
অর্থাৎ, মর্ত্যের জন্য দিব্যলোকের বৈভব আকর্ষণ করে মৃত্যু নিবেশিত না করে চির বিদ্যমান রথাসনা হিরন্ময়ী সবিতা অবলোকন করে যান এই ভুবনকে। বরণীয়া বৈভবদাত্রী হিরন্ময়ী সবিতা পালন করেন এই পৃথিবীকে। এই ভাগ্য ও চৈতন্য প্রদায়িনী ভার্গবী সবিতা নক্ষত্র ভর্গোদেবের ধীমহিমার বিগ্রহ।
এই সবিতা নক্ষত্র হচ্ছেন লক্ষ্মী। আর সূর্যই হচ্ছেন সবিতা এবং সূর্যই হচ্ছেন লক্ষ্মী।
সামবেদে ৪৬৪ নং মন্ত্রে রয়েছে, ---
"অভি তং দেবং সবিতারমোণ্যা: ...
সক্রতু: কৃপা স্ব: ।"
অর্থাৎ, দ্যুলোক ও পৃথিবী---উভয়ের মধ্যে বর্তমান রয়েছেন সবিতাদেব অর্থাৎ সূর্য। তিনিই সব কাজে ব্যাপ্ত, সৎকাজের প্রেরক, রমণীয় রত্নধারণকারী সবার প্রিয়, মননযোগ্য সবিতাদেবকে আমি অর্চনা করি। যাঁর স্বপ্রকাশিত দীপ্তি আকাশমুখী হয়ে উদ্ভাসিত, যাঁর অনুশাসনে জগৎ প্রবর্তিত, তিনি হিরণ্যহস্ত ( অর্থাৎ, সোণার কিরণযুক্ত) সুকর্মা, জল নির্মাণকারী আদিত্য সূর্য। তাই সূর্যই সবিতা, সূর্যই লক্ষ্মী।
আসলে সূর্যের তাপেই নদ-নদী-জলাশয়-সমুদ্রের জল বাষ্প হয়ে আকাশে মেঘের সঞ্চার করে এবং তারপর তা বৃষ্টিরূপে ঝরে পড়ে ধরণীকে শস্য-শ্যামলা করে তোলে। সুতরাং, এই পুরো প্রক্রিয়ার মূলে ভূমিকা রয়েছে সূর্যের। তাই ঋগ্বেদে রূদ্র আখ্যায় ভূষিত সূর্যই ছিলেন বৈদিক যুগের এক বড়ো জনগোষ্ঠীর দেবতা। পরে রূদ্র মিশে যান শিবের সঙ্গে।
অর্থাৎ, ভূলোক, ভুবলোক, স্বর্গলোক, সেই সবিতায় যিনি ভর্গোদেবের ধীমহিমা চৈতন্যবোধ, তিনিই আমাদের চৈতন্যবোধ প্রদায়িনী।
সব শেষে বলা যায়, আদিম কৌম সমাজের মধ্যে যে ঘটলক্ষ্মী বা শস্যলক্ষ্মীর পুজো প্রচলিত ছিল, নানা বিবর্তনের পরেও কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে সেই পুজো মেয়েদের মধ্যে আজও প্রচলিত রয়েছে। খ্রিস্টিয় দ্বাদশ শতক পর্যন্ত এই শারদীয় কোজাগরী উৎসবের সঙ্গে লক্ষ্মীদেবীর পুজোর সম্পর্ক ছিল না। পরে লক্ষ্মীপুজোর সঙ্গে কোজাগরী উৎসব জুড়ে যায় এবং এখনও এভাবেই তা চলছে।
ভারতের গ্রামীণ কৃষিজীবী সমাজে মাতৃপ্রাধান্যমূলক আচার-অনুষ্ঠান বহুদিন ধরেই প্রচলিত ছিল। এই মাতৃদেবীর ধারণাই কালক্রমে সকল জাগতিক উপাদানের প্রতিরূপ বা প্রকৃতি এবং সেগুলির কার্যকারিতার মূল প্রেরণা বা শক্তি হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে। বৈষ্ণবধর্মে এই শক্তিই বিষ্ণুর শক্তি লক্ষ্মী হিসেবে কল্পিত হয়েছে।
তন্ত্রধর্ম প্রভাবিত করেছিল বৈষ্ণবধর্মকে, তার প্রমাণ দেখা যায় খ্রিস্টিয় নবম থেকে দ্বাদশ শতকের মধ্যে রচিত "লক্ষ্মীতন্ত্র।" এখানে বিষ্ণুর চেয়ে লক্ষ্মীকে শ্রেষ্ঠ এবং সকল সৃষ্টির নিমিত্ত কারণ বলা হয়েছে। আর এই দেবীর সাধনপদ্ধতি হচ্ছে, পঞ্চ -"ম"-কারসহ বামাচারী। আদিতে শ্রী বা লক্ষ্মী এক দেবী ছিলেন না, মহাকাব্য ও পুরাণে তাঁর সমীকরণ ঘটেছে।
এই দেবীকে বিভিন্ন মুদ্রা, শীলমোহর ও ভাস্কর্যে পদ্মফুলের ওপর উপবিষ্ট বা কোথাও দণ্ডায়মানা অবস্থায় দেখা যায়। এছাড়া দেবীর আরেকটি প্রচলিত ভঙ্গী আছে, তা হলো "গজলক্ষ্মী।" দুটি হাতির জলসেচন দিয়ে অভিষিক্তা হচ্ছেন দেবী গজলক্ষ্মী। মহাভারতে (৪/৬, ৬/২৩) বলা হয়েছে, বাসুদেবের ভগিনী হচ্ছেন দুর্গা এবং তিনি নন্দগোপকুলোদ্ভবা। আবার হরিবংশের আর্যাস্তবে তাঁকে লক্ষ্মী, বলদেবের ভগিনী, নন্দগোপসূতা ইত্যাদি আখ্যা দেওয়া হয়েছে। শুম্ভ-নিশুম্ভ ও দেবী মহিষাসুরমর্দিনী অন্যান্য দেবতাদের কাছে "নারায়ণী" নামে পরিচিতা হয়েছেন। কৃষ্ণ-বলরামের ভগিনী পরিচিতা হয়েছেন "একানংশা" নামে। বরাহমিহির তাঁর "বৃহৎ সংহিতা"-য় বলছেন, "কৃষ্ণবলদেবয়োর্মধ্যে একানংশা কার্যা।" উড়িষ্যার ভুবনেশ্বর অনন্তবাসুদেবের মন্দিরের গর্ভগৃহে কৃষ্ণ-বলরামের মাঝে একানংশা মূর্তি আছে। আবার পুরীর জগন্নাথ-বলরামের মাঝে তিনিই সুভদ্রা। শাক্ত ভাবধারার বৈষ্ণবী বা লক্ষ্মীর শক্তি উপাদানটি বৈদান্তিক বৈষ্ণব তাত্ত্বিকরাও মেনে নিয়েছেন।
যেমন, রামানুজের শ্রীবৈষ্ণব ও মধ্ব সম্প্রদায় ব্রহ্ম বা বিষ্ণুর শক্তি হিসেবে লক্ষ্মীর উপাসনা করতেন। অন্যদিকে, নিম্বার্ক, বল্লভ ও শ্রীচৈতন্য অনুসারীদের কাছে এই শক্তি হচ্ছেন "রাধা।" আবার দক্ষিণ ভারতের বৈখানস সম্প্রদায়ের মানুষেরা সবার ওপরে ব্রহ্মের বিভূতি বা ঐশ্বর্য, "নিত্যানন্দ-মূল-প্রকৃতি" এবং চেতন ও অচেতন জগতের স্রষ্টা ব্রহ্মস্বরূপ বিষ্ণুর শক্তি হিসেবে শ্রী বা লক্ষ্মীকে স্থান দিয়ে থাকেন। শারদীয়া দুর্গাপুজোয় নয়টি উদ্ভিদের সমাহারে যে নবপত্রিকা থাকে, তার একটি উদ্ভিদ হচ্ছে---ধান এবং এর দেবী হচ্ছেন লক্ষ্মী।
আবার তন্ত্রমতে, যেসব বর্ণমালা দিয়ে শব্দ গঠিত হয়, তার প্রতিটি বর্ণই হচ্ছে মাতৃকা দেবী হিসেবে কল্পিত। এই বর্ণমালার প্রতিটি বর্গেই একজন করে অধিষ্ঠাত্রী দেবী রয়েছেন।"স্বচ্ছন্দতন্ত্র" অনুসারে, অ-বর্গে রয়েছেন মহালক্ষ্মী, ক-বর্গে কমলোদ্ভবা, চ-বর্গে মহেশানী, ট-বর্গে কুমারিকা, ত-বর্গে নারায়ণী, প-বর্গে বারাহী, য-বর্গে ঐন্দ্রী এবং শ-বর্গে রয়েছেন চামুণ্ডা। এখানে সপ্তমাতৃকার সঙ্গে মহালক্ষ্মী রয়েছেন। মাতৃকা ছাড়া তান্ত্রিক দেবীদের আরেকটি গোষ্ঠী হলেন--- মহাবিদ্যা, সংখ্যায় তাঁরা দশ বলে বলা হয় "দশমহাবিদ্যা।" এঁরা হলেন---মহাকালী, তারা, ষোড়শী, ভুবনেশ্বরী, ভৈরবী, বগলা, ছিন্না, মহাত্রিপুরসুন্দরী, ধূমাবতী ও মাতঙ্গী।
অন্য তালিকা অনুযায়ী---কালী, তারা, ষোড়শী (ত্রিপুরসুন্দরী), ভুবনেশ্বরী (রাজরাজেশ্বরী), ছিন্নমস্তা, ভৈরবী (ত্রিপুরভৈরবী), ধূমাবতী (অলক্ষ্মী), বগলামুখী, মাতঙ্গী ও কমলা (লক্ষ্মী)। এই কমলার ধ্যানমূর্তির সঙ্গে ভারহুতের স্তূপবেষ্টনীতে আঁকা শ্রী বা গজলক্ষ্মীর মূর্তির মিল আছে। তবে তত্ত্ব যাই থাকুক না কেন, সব শেষে বাঙালি ঘরের মেয়েরা কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে নিজেদের ঘরে ঘটলক্ষ্মীর পুজো করে বলেন, ওঁ হ্রীং ধনদায় স্বাহা: ।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
In publishing and graphic design, Lorem ipsum is a placeholder text commonly used to demonstrate the visual form of a document or a typeface without relying on meaningful content. Lorem ipsum may be used as a placeholder before final copy is available. test