সুফিদের ধর্মান্তরকরণ আটকে ছিলেন কালিকাপুরাণের কালী ও কৃত্তিবাসী রামায়ণের রাম

সুফিদের জিহাদ শুরু হয়েছিল শাহ জালালের শ্রীহট্ট দখলের মধ্যে দিয়ে বাংলার সুলতান শামসুদ্দিনের সময় ১৩০৪ খ্রিস্টাব্দে। শ্রীহট্ট দখল করে সেখানকার একটি টিলার ওপর তান্ত্রিকদের একটি আস্তানা দখল করে ইসলাম প্রচারে মন দিলেন শাহ জালাল। বলতে গেলে, খ্রিস্টিয় চতুর্দশ শতক থেকেই পীর-দরবেশরা একের পর এক তান্ত্রিক সন্ন্যাসীর আস্তানা দখল করে গৌড়-বঙ্গে গড়ে তুলতে লাগলেন দরগা-মসজিদ-খানকা। এই খ্রিস্টিয় চতুর্দশ শতকেই গৌড়-বঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় আস্তানা গড়েন সুফিরা, যেমন— গৌড়-পাণ্ডুয়ায় সিরাজ-অল-দীন-ওসমান, মহাস্থানগড়ে (বগুড়া) শাহ সুলতান, সাজাদপুরে (পাবনা) শাহদ্দৌলা শাহিদ, মঙ্গলকোটে (বর্ধমান) রাজা পীর এবং শ্রীহট্টে শাহ জালাল।
এভাবে সারা দেশেই গড়ে উঠলো পীরের আস্তানা।
তবে সুলতান শামসুদ্দিনের সময় গৌড়-বঙ্গ পুরোপুরি তুর্কিদের দখলে যায়নি। উত্তরবঙ্গ বা গৌড়-লক্ষ্মণাবতী, উত্তর রাঢ়ের কিছু অংশ এবং পশ্চিম দক্ষিণবঙ্গের কিছু এলাকা শামসুদ্দিনের দখলে ছিল। এই তুর্কি শাসিত এলাকায় বৌদ্ধ, নাথপন্থী এবং কিছু হিন্দু ছিল। অন্যদিকে, হিন্দু শাসিত এলাকায় থাকলো গোঁড়া হিন্দুদের সিংহভাগ অংশের লোক।
তুর্কি শাসকরা রাজ্যবিস্তারের চেয়ে রাজকোষ বৃদ্ধিতেই মন দিয়েছিলেন বেশি। এর ফলে হিন্দুদের ওপর চাপলো করের বোঝা। উৎপন্ন ফসলের অর্ধেক দিতে হতো “কর” হিসেবে হিন্দুদের দিতে হতো। এর ফলে দেশে দারিদ্র্য বাড়লো। খাদ্যের জন্য ভীড় বাড়তে লাগলো খানকায়। আর তুর্কি শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশে বেড়ে চললো খানকা ও মসজিদের সংখ্যা। আর এভাবেই গৌড়ের মোট ২ লক্ষ জনসংখ্যার মধ্যে মুসলমানের সংখ্যা হয়ে গেল ৩০ হাজার। ১৩৪৫ খ্রিস্টাব্দে এদেশে ঘুরতে আসা মরক্কোর পর্যটক ইবন বতুতার সঙ্গে শাহ জালালের সাক্ষাৎ হয়েছিল। এর পরের বছর ১৩৪৬ খ্রিস্টাব্দে শাহ জালালের মৃত্যু হয়। সুফিরা ছিলেন স্বধর্মনিষ্ঠ, কিন্তু পরধর্ম সহিষ্ণু ছিলেন না। তাঁরাও অস্ত্র হাতে জিহাদে অংশ নিয়েছেন। উপরের শাহ জালাল তাঁর উদাহরণ। সুফিরা হিন্দু বৌদ্ধ তন্ত্র থেকে কিছু তুকতাক, গল্প শিখে নিয়ে তা দিয়ে কেরামতি দেখিয়ে ইসলামের প্রচার চালাতে লাগলেন। এমনকি, হিন্দুদের আকৃষ্ট করতে সিন্ধু প্রদেশে শাহ লতিফ সুফি সম্প্রদায়ের লোকেরা হিন্দুদের “প্রণব চিহ্ন” অর্থাৎ “ওঁং” মন্ত্রটিকে পর্যন্ত নিয়ে নিলেন।

এদিকে তুর্কি শাসিত গৌড়-বঙ্গ তখন দিল্লি থেকে ছিল কার্যত বিচ্ছিন্ন। এর আগে সেন আমলে বাংলায় “শকাব্দ” চালু ছিল, কিন্তু খ্রিস্টিয় দ্বাদশ শতাব্দী থেকেই তুর্কি শাসকরা তাঁদের অধিকৃত এলাকায় চালু করলেন নিরেট চান্দ্র অব্দ “হিজরি।” তবে মুসলমান পার্বণে হিজরি থাকলেও হিন্দুরা নিজেদের জন্য শকাব্দ ব্যবহার করতে লাগলেন। ইতিমধ্যেই ধ্বংস হয়েছে বাংলায় হিন্দু মন্দির, বাংলা-বিহারে পালি, সংস্কৃত ও ধর্মশাস্ত্রের পাঠ দেওয়া হতো যেসব বৌদ্ধ বিহারে, সেই উদন্তপুরী, বিক্রমশীলা, নালন্দা ধ্বংস হয়েছে তুর্কিদের হাতে। হিন্দুরাজারা বিলুপ্তপ্রায়। এদিকে শিক্ষার জন্য মুসলমান রাজাদের কোনো উৎসাহ ছিল না, যদিও মসজিদ-খানকা তৈরিতে তাঁদের অবদান ছিল। হিন্দুদের এই সংকটকালে এলেন শৈবতন্ত্র প্রভাবিত “কালিকাপুরাণ” -এর কালী। খ্রিস্টিয় চতুর্দশ শতকে ব্যাপক প্রচার হলো এই কালিকাপুরাণের, যার জেরে অনেক বাঙালি মুসলমান পর্যন্ত হয়ে গেল কালী ভক্ত। খ্রিস্টিয় দশম-একাদশ শতক পর্যন্ত নরবলি দিতে কোনো বাধা ছিল না। নরবলির ভয়ে ঘন জঙ্গলের মাঝে অবস্থিত বাংলার শক্তিপীঠগুলোতে কোনোরকম তুর্কি আক্রমণ ঘটেনি। কারণ, তুর্কিরা দিনের বেলাতেও এগুলোকে সভয়ে এড়িয়ে চলতো। এর ফলে আটকে গেল সুফিদের ইসলামীকরণ প্রক্রিয়া। কালীর শক্তিমন্ত্র বাঙালিকে আর মুসলমান হতে দিলো না। দেবী কালিকার বোধনে যে সংস্কৃত শুদ্ধিমন্ত্র উচ্চারিত হয়েছিল, তার পরিপূরক হিসেবে বাঙালির জীবনে নতুন প্রাণের জোয়ার এনে দিলো কৃত্তিবাসী রামায়ণ। ১৩৯৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩ জানুয়ারি নদীয়ার রাণাঘাটের কাছে ফুলিয়া গ্রামে কবি কৃত্তিবাস ওঝার জন্ম, এ তথ্য আমাদের অনেকের জানা। কিন্তু অজানা হলো, খ্রিস্টিয় চতুর্দশ শতকে বাঙালি সমাজ রামায়ণের মধ্যে ফিরে পেল তার প্রাণ।
বাল্মীকির সংস্কৃত রামায়ণকে কবি কৃত্তিবাস বাঙালির মতো করে পরিবেশন করলেন পাঁচালি ছন্দে। উচ্চ-নীচ ও জাতিভেদের বেড়া ভেঙে আপামর বাঙালি মনেপ্রাণে গ্রহণ করলো রামায়ণ গানকে। সুফি-ফকির-দরবেশদের মুসলমান রাজদরবারে পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে সম্মান ছিল এবং তাঁরা ছিলেন রাজপোষ্য, কাজ না করেও অর্থ পেতেন। কালিকাপুরাণের কালীর কাছে শক্তিমন্ত্র পাওয়া বাঙালি দ্বিতীয়বার কৃত্তিবাসী রামায়ণের ভক্তিস্রোতে ভেসে গেল। বাঙলায় ব্যাপকভাবে চলতে থাকলো পাঁচালি রামায়ণ গান ও রামযাত্রা। বাঙালির ঘরের দাওয়ায় সন্ধ্যেয় বসতে লাগলো রামায়ণ পাঠের আসর। আর এই প্রবল স্রোতের বাঁকেই আটকে যায় সুফিদের এদেশে হিন্দুদের মধ্যে ইসলামধর্মে দীক্ষিত করার প্রক্রিয়া। রামায়ণের রাম-আবেগের কাছে থেমে যায় সুফিদের ইসলামীকরণের বেগ।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.