আওরঙ্গজেবের হিন্দুদের দেওয়া ফরমান: উদ্দেশ্য ও পরিণতি

কাশীতে সংরক্ষিত মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের একটি ফরমান একটি আশ্চর্য বস্তু। যে আওরঙ্গজেব হিন্দু মন্দির ধ্বংসের ফরমান জারি করছেন, আবার তিনিই কাশীর কয়েকজন ব্রাহ্মণ সেবাইতকে বলছেন, তাদের যেন নিজেদের পাণ্ডাগিরি বা সেবাইতগিরির কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া না হয় এবং অন্য হিন্দুদের বিরক্ত না করতে আদেশ দিচ্ছেন।
এই আশ্চর্য ফরমানটির তারিখ ১৬৫৯ খ্রিস্টাব্দের ২৮ শে ফেব্রুয়ারি। ফরমানটির এক জায়গায় লেখা আছে, ---
"আমাদের ধর্মগ্রন্থের আদেশ, পুরোনো মন্দির ভাঙা উচিত নয়, কিন্তু নতুন মন্দির তৈরি করতে দেবে না।"
কিন্তু আবার ১৬৭০ খ্রিস্টাব্দে গোটা রাজ্য জুড়ে জারি করা আওরঙ্গজেবের ফরমানে দেখা যাচ্ছে, ---
"গত দশ-বারো বছরের মধ্যে তৈরি হওয়া সব মন্দিরগুলি ভাঙবে এবং পুরোনো মন্দির মেরামত করতে দেবে না।"---মুরুক্কাৎ-ই-হসন, রামপুর হস্তলিপি।
এবার প্রথম ফরমানটি নিয়ে আলোচনায় আসা যাক্। দেখা যাচ্ছে, ১৬৫৯ খ্রিস্টাব্দের ২৮ শে ফেব্রুয়ারি যখন এই ফরমানটি জারি করা হয়, তখন দেশের মধ্যে গোলযোগ চলছে। কারণ, এর অল্পদিন আগে আওরঙ্গজেবের পরাজিত মেজো ভাই শাহ সূজা বারাণসী থেকে চার লক্ষ টাকা লুঠের ভয় দেখিয়ে তা নিয়ে বিহার ও বাংলায় পালিয়ে গেছেন। তাঁকে পিছু ধাওয়া করে আওরঙ্গজেবের জ্যেষ্ঠ পুত্র শাহজাদা মহম্মদ সুলতান হাজির হয়েছেন কাশীতে। এই শাহজাদা মহম্মদ সুলতানের অনুরোধেই বাদশাহ আওরঙ্গজেব সেখানকার কয়েকজন ব্রাহ্মণ সেবাইতের অনুকূলে এই ফরমানটি জারি করেন। ব্রাহ্মণ পণ্ডিতরা শাহজাদা মহম্মদ সুলতানকে ধরেই এই ফরমানটি পান।
রহস্য এখানেই। এই রহস্য ভেদ করতে হলে আমাদের সে সময়ের পরিস্থিতিটা জানা দরকার। দেখা যাচ্ছে, সময়কাল তখন ১৬৫৯ খ্রিস্টাব্দ। আওরঙ্গজেবের সামনে তখন সংকট। সূজা মুঙ্গের দুর্গে, পলাতক দারা তখনও নিখোঁজ। আওরঙ্গজেবের জ্যেষ্ঠ পুত্র মহম্মদ সুলতান কাশী অধিকার করে মুঙ্গেরের দিকে অভিযান করেছেন, পিছনে দারাশুকোর পূর্বতন সুবা এলাহাবাদের হিন্দু প্রজার দল। এ অবস্থায় আওরঙ্গজেব কাশীর পাণ্ডাদের সন্তুষ্ট করে হিন্দুদের ঠাণ্ডা রাখার গুরুত্ব বুঝেছিলেন। আর তাই ১৬৫৯ খ্রিস্টাব্দে বাদশাহ আওরঙ্গজেব "বেনারস ফরমান" জারি করে জানাচ্ছেন, ---
আমাদের শরিয়তের বিধান অনুসারে, পুরোনো মন্দির ধ্বংস করা উচিত নয়। অথচ এর দশ বছর পর বিধান ভেঙে আওরঙ্গজেব কাশীর পুরোনো বিশ্বনাথ মন্দির ধ্বংস করার ফতোয়া দিলেন?
স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, এর কারণ কি?
এর কারণ, যোধপুরের মহারাজা তথা আওরঙ্গজেবের সর্বপ্রধান হিন্দু সেনাপতি যশোবন্ত সিংহের মৃত্যু। মহারাজা যশোবন্ত সিংহ যতদিন বেঁচেছিলেন, ততদিন পর্যন্ত হিন্দুদের ওপর জিজিয়া কর আরোপ করার সাহস আওরঙ্গজেবের হয়নি। মহারাজা যশোবন্ত সিংহের মৃত্যুর পরেই আওরঙ্গজেবের বাদশাহী ধর্মবুদ্ধি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল। তবে সুবিধামতো শরিয়তি ব্যাখ্যা কার মস্তিষ্কপ্রসূত বাদশাহ আওরঙ্গজেবের, না তাঁর ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা সেখ উল্ ইসলামের, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
এছাড়াও ১৬৬১ ও ১৬৬৯ খ্রিস্টাব্দে জারি করা আওরঙ্গজেবের আরও দুটি রহস্যজনক ফরমান আবিষ্কৃত হয়েছে। ওই দুটি ফরমানে আওরঙ্গজেব কাশীবাসী ভগবন্ত গোঁসাই ও রামজীবন গোঁসাইকে ভূমিদান করেছেন। তাঁরা যেন বাদশাহের বিধিদত্ত অক্ষয় সাম্রাজ্যের কল্যাণের জন্য মনের শান্তিতে প্রার্থনা করতে পারেন, এই উদ্দেশ্যেই এই ভূমিদান করা হয়। কিন্তু প্রশ্ন, ১৬৬৯ খ্রিস্টাব্দে একহাতে কাশীর বিশ্বনাথ ধ্বংস এবং অন্য হাতে গোঁসাইদের ভূমিদানের উদ্দেশ্য কি?
তাছাড়া গোঁসাইদের স্থান গোকুলে, কাশীতে নয়। তাই শৈব প্রধান কাশীতে আওরঙ্গজেবের বৈষ্ণব গোঁসাই তোষণের কারণ কি? আওরঙ্গজেব বাদশাহর অক্ষয় সাম্রাজ্যের স্থায়ীত্বের জন্য হঠাৎ করে কাফেরদের দোয়ার দরকার হলো কেন?
তাছাড়া যদি আওরঙ্গজেবের সত্যিকারের বৈষ্ণব প্রীতি থেকে থাকলে গোকুলের গোস্বামীদের কাছেও তাঁর ভূমিদানের উদাহরণ থাকতো, কিন্তু সে রকম একটিও সনদ পাওয়া যায় নি। তবে এর কারণ কি?
তবে কি এই দুই গোঁসাই মোগলদের গুপ্তচর ছিলেন, অথবা শৈব ও বৈষ্ণবদের মধ্যে বিবাদের আগুনকে উসকে দিয়ে হিন্দুর অসন্তোষকে চাপা দিতেই এই ভূমিদানের পুণ্যকাজটি করেছিলেন বাদশাহ আওরঙ্গজেব? ঐতিহাসিকদের এমনতর সন্দেহ হতেই পারে!
তথ্যসূত্র:
1). The Oxford History of India: Vincent A. Smith.
2). Anecdotes of Aurangzib: J. N. Sarkar.
3). History of Aurangzib, Vol. III, V: J.N. Sarkar.
4). Aurangzib and his Times: Zahiruddin Faruqi.
5). প্রবাসী, ভাগ ২১, খণ্ড ১, সংখ্যা ৬, আশ্বিন, সন ১৩২৮: যদুনাথ সরকার।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.